প্রতিবছরই প্ল্যান করি ‘কুটি-কুটি’ বই পড়ে দুনিয়া পাল্টাই দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে তো পড়ার বই ধরতাম না, আবার বই পড়া আসবে কোথা থেকে? ২০১৩-১৪-১৫ সাল এক এক করে চলে গিয়ে ১৬ আসে; ষোলর শুরুতে বই পড়ার অভ্যাস কিংবা বই ধরার আগ্রহ তেমন ছিল না। ২০১৫ সালের শেষে আইবিএ’র এক্সিকিউটিভ এমবিএতে পড়ার জন্য কিছু ক্লাসের বই কেনা বা চ্যাপ্টার পড়া হয়, কিন্তু নিজের আগ্রহের কোনই বই পড়া শুরু করি নাই।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ মাসে ডেলিভারিং হ্যাপিনেস বইটার খোঁজ পাই, টনি সিয়ের বই-দারুণ। এরপরে ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির ফেলোশিপ নিয়ে আমেরিকাতে গেলে আরও বইয়ের খোঁজ পাই।
ক্লাসের পড়ার বইগুলোর প্যাটার্নই পেইন, কিন্তু অন্য বই আসলেই রঙিন-রং। এরপরে পড়ার সুযোগ পাই পিটার থিয়েলের জিরো টু ওয়ান, আরেকটা দারুণ বই।
স্টার্টআপ বা ব্র্যান্ড বা কাজের যে কয়’টা বই পড়েছি তার মধ্যে অন্যতম ছিল তালিকার বইগুলো:
বইয়ের নাম | লেখক | র্যাংকিং |
দ্য আর্ট অব স্টার্ট | গাই কাওয়াসাকি | দারুণ। স্টার্টআপ ফ্রিকদের জন্য বাইবেল। |
ম্যাকিনটোশ ওয়ে | গাই কাওয়াসাকি | নব্বই দশকে লেখা বই, এখনও জোস। |
জিরো টু ওয়ান | পিটার থিয়েল | জোস, দারুণ। কুল। |
ডেলিভারিং হ্যাপিনেস | টনি সিয়েহ | দারুণ। |
ম্যাকেইনঞ্জি মাইন্ড | — | প্রবলেম সল্ভিংয়ের উপর বই। |
জ্যাগ | — | ব্র্যান্ডিংয়ের উপর বই। |
দ্য ওয়ার অব আর্ট | মোটামুটি বই। | |
ডিসিপ্লিন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ | — | এমআইটির প্রফেসরের বই। দারুণ। |
1 thought on “২০১৬ সালে যে বই পড়েছি”