১৯৬৮ সালে প্রথম আমেরিকাতে অ্যাডাপ্টিভ থিংকিং বিষয়টার চর্চা শুরু হয়। সেবার মার্কিন বিমান বাহিনী ভিয়েতনামে বিমান হারাচ্ছিল অনেক। বিমান হামলা থেকে বিমান ও পাইলটদের বাচাতে অ্যাডাপ্টিভ থিংকিং শুরু করে তারা।
অ্যাডাপ্টিভ থিংকিং হচ্ছে যে কোনো পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিত ঘটনার মধ্যে তড়িৎ সম্ভাব্য সিদ্ধান্তগুলো ভেবে বের করে বেস্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা। যে কোনো ডগফাইটে পাইলটদের অ্যাডাপ্টিভ থিংকিংয়ের ওপর ভরসা করতে হয়। মুহূর্তের মুহূর্তে সেখানে দিক পরিবর্তিত হয়, তড়িৎ কিন্তু বেস্ট সিদ্ধান্ত না নিলে ঘটতে পারে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা।
আমার প্রতিদিন জীবনে একই স্টাইলে একঘেয়ে চলার চেষ্টা করি, যে কারণে আমাদের চিন্তাও ফিক্সড হয়ে যায়। বিষয়টা এমন যে, গাড়ি ডানে যাবে না বামে। এর বাইরে আমরা চিন্তা করতে পারি না। আমাদের চিন্তা গাড়ির মতই রাস্তার মোড়ের মত আটকে থাকে। হুট করে কোন ঘটনা ঘটলে তখন আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে যাই। অ্যাডাপ্টিভ থিংকিংয়ের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তহীনতা কাটানো যায়।
নিউরোসার্জনদের কথা চিন্তা করুন। অপারেশনের সময় হুট করে মস্তিষ্কের কোন একটি জায়গায় রক্তপাত শুরু হলে তখন তারা অ্যাডাপ্টিভ থিংকিংয়ের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করে।
অ্যাডাপ্টিভ থিংকিংয়ের সঙ্গে think well যেমন জড়িত তেমনি think flexibly ও quickly বিষয়টি জড়িত।
অ্যাডাপ্টিভ থিংকিং বাড়ানোর ৩টি উপায় আছে:
কার্যকর পরিকল্পনা
নিয়মিত প্রোগ্রেসে মনিটর করা
চিন্তা শিফট করার দক্ষতা
প্রতিদিন নিয়মিত একটি নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে তার মতো করে সমস্যা সমাধানের চর্চা করার অভ্যাস করা প্রয়োজন আমাদের। ক্রীড়াবিদরা এমন করে প্র্যাকটিস করে। ডার্বি রেসের ঘোড়াদেরকেও বড় বড় লাউড স্পিকার-ওয়ালা ফেক শব্দের মধ্যে প্র্যাকটিস করতে হয়।
ডাইভারজেন্ট থিংকিং বিষয়টিও সঙ্গে সঙ্গে শেখা জরুরী। স্কুল কলেজে শেখানো হয়, কনভারজেন্ট থিংকিং। একই কাজ বারবার করে বাড়ির কাজ দেয়া হয়, সেখানে বুদ্ধি চর্চার সুযোগ কম থাকে।