মাঝেমধ্যেই নানা কারণে জীবনের নানা অর্থ খুঁজে বেড়াই। সেই অর্থের বিভিন্ন ঘটনা আমাদের জীবনকে নানাভাবে ভাবতে শেখায়, বুঝতে শেখায়। নানান মানুষ, নানা গল্প, হাজারো ঘটনা, কিন্তু সবার একটাই নেশা-বেঁচে থাকা। বেঁচে থাকা কেমন, কতটা অদ্ভুত তাই দেখা মেলে ইতি, তোমারই ঢাকা সিনেমায়।
একটা শহরে কোটি মানুষ, কোটি মানুষের শ’য়ে শ’য়ে গল্প। একেকটা গল্পের গতিপথ একেক দিকে। মানুষভেদে বেঁচে থাকা ভিন্ন, কিন্তু মুহুর্তগুলো সব অনন্য। অনেকগুলো খুব সাধারণ ও সরল গল্প নিয়ে সিনেমা ইতি, তোমারই ঢাকা। খুব মনোযোগ দিয়ে সিনেমা তৈরিতে কাজ ছিল সিনেমাতে। প্রতিটি গল্পের প্রকাশ সরল, দর্শক হিসেবে মনেই হবে পাশে আমরা-কিংবা আমার সামনেই ঘটছে যেন গল্পটি।
সিনেমা থেকে গল্প আমাদের জীবনে আসে, কিন্তু জীবনের গল্প সিনেমায় সব সিনেমাতেই তেমন দেখা যায় না। সেই জীবনের ছাপচিত্র দেখা মেলে সিনেমাতে। খুব সিনেমাটিক সিনেমা মনে না হলেও, গল্পে আটকে রাখে ইতি, তোমারই ঢাকা।
সাধারণ দর্শক হিসেবে বেশ সময় নিয়ে সিনেমা দেখেছি। প্রতিটা গল্পের শুরুতেই শেষটা মাথায় চলে আসে, কিন্তু আপনি বসে থাকবেন গল্পের শেষটা কোথায়। শেষটা কি শেষই? শেষের গল্প কেমন হতে পারে, কিভাবে শেষটা আমাদের জীবনের অংশ হতে পারে সেটাই জানার সিনেমা ইতি, তোমারই ঢাকা। সিনেমার সব গল্পের চরিত্র দেখে মনে হতে পারে, আরেহ এটা তো আমি কিংবা আমার সঙ্গে হতে পারে এমন ঘটনা।