অদ্ভুত, উদ্ভট, সরল-আমাদের মানুষের জীবনকে এই তিন শব্দে যে কোনও ভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব। সেই জীবনের একটা সরল, অন্যের, গল্প নিয়ে সিনেমা দ্য স্কাই ইজ পিংক। সোনালি বোসের সিনেমা। সত্য ঘটনার ছায়ায় সিনেমা। আয়েশা, আইশের বেঁচে থাকার নানা আশার গল্প নি সিনেমা। জীবন কি সিনেমা, নাকি সিনেমাই জীবন-এমন প্রশ্ন দেখা যাবে সিনেমাটি দেখলে। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মুজ চরিত্রের প্রতি মুহূর্তের অভিনয় মাতৃত্বকে নতুন করে বুঝিয়েছে সিনেমা। আর ফারহান আখতার পাণ্ডার অভিনয় বোঝায় বাবারা কোথায় কতটা শক্ত, কতটা বড়। সিনেমাটি প্রচলিত কোন ফ্রেমে আটকে ছিল না। কখনও ১৯৯০, কখনও ২০১৪ কিংবা কখন ১৯৯৬-নানা সময়ে নিয়ে যাবে দর্শকদের। এটাই কি সিনেমা নয়? হয় ভাবতে শেখাবে, নইলে ভাবনার জায়গা নিয়ে যাবে!
ব্যক্তি জীবনের নানা অভিব্যক্তির ছাপের দেখা মেলে সিনেমায়। আইশের চরিত্রে দারুণভাবে জীবনের পথ চলা, সময়ের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়া, পেছনে ফিরে আবারও সামনে এগিয়ে চলা-সবই এক ফ্রেমে ছিল সিনেমার। একেকটা মানুষের জীবন, আকাশ-একেক রঙের, একেক রকমের গল্প সবার জীবনে। সেই গল্পের মধ্যে জীবন নিয়ে হতাশা ভিড় করে চারপাশে, কিন্তু বেঁচে থাকার ভাবনা এগিয়ে নেয় আমাদের। দ্য স্কাই ইজ পিংক সিনেমায় প্রতিটি চরিত্রই যেন আমরা চারপাশে দেখি। আমার পাশের মানুষটির আকাশটা কেমন তা জানতে সিনেমাটি আমাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে।