(এক কাপ বই সিরিজটি অনেকদিন ধরেই লেখার চেষ্টা আমার। এক কাপ চা খেতে খেতে যদি দারুণ কিছু শেখা যায় তাহলে মন্দ কি? এখন তো বই পড়ায় আমাদের সময় নেই তেমন, সেই না পাওয়াকেই আরেকটু অন্যরকম করে তোলার জন্যই এই এক কাপ বই সিরিজ। আর এখন ট্রেন্ডিং যত বই আছে সবগুলোই আসলে ২০ পাতার বই, কেন যে লেখকরা কাটতি বাড়ানোর জন্য ৪০০ পৃষ্টা লেখেন!)
রায়ান হলিডের গ্রোথ হ্যাকার মার্কেটিং বই পড়ে যা জেনেছি,
ব্যবসা কিংবা স্টার্টআপ শুরুর আগে আমরা বিলিওন ডলার আর কোটি কোটি কাস্টমার বিবেচনায় একগাদা প্ল্যান করি। এখন কোন কিছু শুরু করাটাই বেশ দ্বিধার, সেই দ্বিধা কাটাতে ছোট্ট কাস্টমার গ্রুপ নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত।
দুই দশক আগেও ব্যবসার প্যাটার্ন ছিল, দারুণ কোন পণ্য বা সেবা তৈরি করে যত লোকের চোখের সামনে হাজির করুন। ইন্টারনেটের বিস্তৃতির কারণে সেই প্যাটার্নে ধাক্কা লেগেছে। এখন পন্য অনেক, সেবা অনেক-মোটামুটি মাছের বাজার সবখানে। এখানে কিভাবে আপনার পন্যকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করবেন তা ঠিক করতে হবে আপনাকে। আপনার প্রোডাক্টকে ক্যাটাগরিতে এক নম্বর আনতে টাকার চেয়ে বুদ্ধিই বেশি খাটাতে হবে এখন।
আগে একটা নিয়ম ছিল, বাজারে যা ছাড়বেন সেটাই সব। কিন্তু এখন ভার্সন ওয়ান পয়েন্ট ও, ভার্সন টু পয়েন্ট ও করে করে পন্য-সেবাকে বিকাশের দারুণ সুযোগ আছে। এখন আসলে প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট বিষয়টা নিত্যদিনকার।
স্বর্ণকার গহনা বানিয়ে দেয়ার পরে সেটা ক্রেতা কিনে ফেললেই কিন্তু সব শেষ, কিন্তু আপনার অ্যাপটির প্রথম ভার্সনে বাগ দ্বিতীয় ভার্সনে না সরালে বিপদ কিন্তু! ফেসবুক গেল তের বছরে অনেকবারই তো হোম পেইজ বদলেছে, সঙ্গে আরও কত কি!
যারা আর্লি অ্যাডাপটার তাদেরকে শুরুতেই টার্গেট করুন। আপনার প্রোডাক্টটি কারা প্রথমে ব্যবহার করতে পারে তাদের সাইকোলজি বোঝার চেষ্টা করুন। টার্গেট দ্য রাইট পিপল। সাধারণভাবে আমাদের টার্গেট থাকে সবাই যেন আমাদের পণ্য বা সেবা নেয়, শুরুটায় এমন টার্গেট উচ্চাভিলাসী।
আবার আরেকটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী, আপনার পণ্য বা সেবা তা ঠিক কাস্টমারই কিনছে কিনা সেটা আপনার ভাবতে হবে। ভুল কাস্টমার যদি ভুল করে প্রোডাক্ট কেনে আর আপনি তা খেয়াল না করেন তাহলে কিন্তু পণ্যের ভবিষ্যৎ খারাপ।
শহরের মানুষদের কাছে লন মোয়ার বিক্রি করার সঙ্গে বিষয়টা মেলাতে পারেন।
ড্রপবক্স রাইট কাস্টমার ধরার জন্য ডিগ নামের সোশ্যাল মিডিয়াকে টার্গেট করেছিল। ড্রিউ হিউস্টোন ড্রপবক্স ব্যবহার নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছিলেন, যেখানে ডিগ কমিউনিটি ব্যবহার করে এমন সব ইস্টার এগ ব্যবহার করা হয়েছিল। ভিডিও আপলোডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ড্রপবক্সে কয়েক হাজার সাইনিং আপ হয়েছিল।
পণ্য বা সেবাকে এমনভাবে ডিজাইন করুন যেন কাস্টমারই আপনার বিপণনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন। পণ্যকে ভাইরাল করতে দুটো পথ আছে,
পণ্যটিকে যেন ভাগাভাগি করার সুযোগ থাকে, আর সবাইকে তা শেয়ার করতে বলুন!