ওয়াল স্ট্রিটের কোটটাই পরা ইনভেস্টমেন্ট এজেন্টদের নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস আছে। বিজনেজ ইনসাইডার এমনই ২৩টি খুঁজে বের করেছে যা কিনা ওয়াল স্ট্রিটের লোকজন ২০১৭ সালে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসা দুনিয়ার লোকজন কেমন বই পড়ে তা জানার চেষ্টা করবো সামনে। এখনকার তরুণ সিইওদের বই পড়ার আগ্রহ আছে বলে শুনেছি।
আমি ওয়াল স্ট্রিটের লোকজন যে ২৩টি বই পড়েছে তার ১৭টি ২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে পড়েছি। কিছু বই দুর্দান্ত, এবং সবই ননফিকশন। নন-ফিকশন বইয়ের যারা পাঠক তারা আগ্রহ নিয়ে বইগুলো পড়তে পারেন।
রোজেনবার্গ ইকুইটিসের সিইও হেইডি রিডলে অ্যান্দ্রে অগাসির বায়োগ্রাফি পড়তে বলেছেন। খেলার মাঠ মানেই যেমন চ্যালেঞ্জ, বিজনেজ দুনিয়াও হচ্ছে চ্যালেঞ্জের।বইটা পড়ে আমার কাছে একটা লাইন সে রকম লেগেছে।
-পারফেকশন কখন আসে?
যখন আপনি অন্যদের সহযোগিতা করবেন!
“বড় স্বপ্ন, অনেক বেশি ক্লান্তিকর!”
“জেগে থেকে স্বপ্ন দেখা কত সুখকর তাই না?”
হোমো দিউস, ইয়ুভাল নোয়াহ
আমার কাছে বইটাকে ফিকশন আর ননফিকশনের মধ্যকার একটি ক্যাটাগরি মনে হয়েছে। অতীতের কথাগুলো ননফিকশন, কিন্তু ভবিষ্যৎ?-ফিকশন?
দ্যা অরিজিনালস-অ্যাডাম গ্র্যান্ট
তুখোড় মানুষ সিয়াম ভাই আমাকে এই বইটা পড়তে বলছিলেন। যদিও তার পরামর্শ দেয়ার আগেই বইটা পড়ে ফেলছি আমি। একটা ভবিষ্যতের কথা বলতে চাই, অ্যাডাম গ্র্যান্টকে আমাদের আগামী ৫০ বছর সহ্য করে যেতে হবে। হোয়ার্টনের এই তরুণ অধ্যাপক ৩০ বছর বয়সে মনস্তত্ব ও মনন নিয়ে যা লিখেছেন তা না পড়লে অনেক কিছু জানা যাবে না।
দ্য রোড টু উইগান পিয়ার, জর্জ ওরওয়েল
জর্জ ওরওয়েল তার সময়কার তুখোড় মানুষদের একজন ছিলেন বলে আমার বিশ্বাস। জেন অস্টিন আর জর্জ ওরওয়েল না পড়ে মরতে চাই না।
জেন্সভাইল: অ্যান আমেরিকান স্টোরি-এমি গোল্ডেস্টেইন
আমেরিকানদের সমস্যা হচ্ছে সব সমস্যাকেই ইনেসপিরেশন ধরে বসে থাকে। জেনারেল মটরস জেনসভাইলের কোম্পানি কেন বন্ধ করে দিয়েছিল তা নিয়ে এই বই। আমাদের আদমজী পাটকল নিয়ে এমন বই কেউ কি লিখবেন? ১৯৫০ দশকে এরচেয়ে বড় কারখানা ছিল কিনা না তা প্রশ্ন করতেই পারেন।
দ্য ক্যাপ্টেন ক্লাস-স্যাম ওয়াকার
বইটি ২০১৭ প্রকাশিত, আমি পড়িনি। তবে বইটি থেকে দারুণ একটি লাইন পেয়েছি,
গ্রেট লিডার হতে চাইলে মটিভেশনাল স্পিচ, সুদর্শন, ক্যারিশমা, সুনাম কিংবা এমন ঐশ্বরিক গুন থাকার দরকার নেই। দলের সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করে যাওয়াটাই সব। গ্রেট লিডার তারা যারা দলের জন্য “ক্যারি দ্য ওয়াটার”-পানির বোতল টানে!
এই বইটা কেন আমি খুঁজে পাইনি!বইটা লিখেছেন এডওয়ার্ড থর্প, ১৯৬০ সালের কাঁপানো লোক। তার ভাষ্যে,
জীবন হচ্ছে উপন্যাস পড়ে যাওয়া কিংবা ম্যারাথনে দৌড়ানো। লক্ষ্য জয় করাই শুধু জীবনের সব না, অভিজ্ঞতা অর্জন করে বেঁচে থাকা আনন্দের।
গণিতবিদ থর্প কিভাবে কি করলে তা পড়তেই হবে।
বর্ন টু রান-ক্রিষ্টোফার ম্যাকডগাল
২০০৯ সালের এই বই গুডরিডসে ৪.১ রেটিং পাওয়া! ১ লাখের ওপর রেটিং! পড়া দরকার।
ইউ সে মোর দ্যান ইউ থিংক
কমিউনিকেশনের ওপর দারুণ বই। ঘাড়ের উপর দাঁড়ানো শেখা যাবে বইটি পড়ে!
গ্রীট- অ্যাঞ্জেলা ডাকওর্থ
গ্রীট পড়ে লেখিকাকে মেইল করে আরও ৩টি বই রেকমেন্ডেশন নিয়েছিলাম!
উলেসিস গ্রান্ট-রন চের্নাও
লিংকনের সেনাপ্রধানের জীবনী নিয়ে বই।
লিওনার্দো দ্যভিঞ্চি-ওয়াল্টার আইজ্যাকসন
ননফিকশন নাকি ফিকশন-এখনো দ্বিধায় আছি।
আরও যা পড়েছে ওয়াল স্ট্রিট বাসিন্দারা:
দ্য ফামা পোর্টফলিও, শ্যাডো ড্রাইভার্স, দ্য ফিস দ্যাট অ্যাট দ্য হোয়েল, দ্য ব্যাটল ফর ব্রেটন উডস, ক্রিয়েটিভিটি, বাফেট, রেড নোটিশ, একপার্ট পলিটিক্যাল জাজমেন্ট।
বইময় দুনিয়া সুন্দর।
-- Stay cool. Embrace weird.
1 thought on “ওয়াল স্ট্রিটের লোকজন ২০১৭ সালে যে বই পড়েছে”