সোশাল মিডিয়াতে করোনাভাইরাস নিয়ে বেশ কিছু নেতিবাচক ও মিথ্যা সংবাদ দেখা যায়। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে আমরা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তা না করে একটু নেতিবাচকভাবেই ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়। যেকোনো মহামারিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক যেমন ছড়ায়, তেমনি মিথ্যা তথ্যও ছড়ায় অনেক বেশি। করোনাভাইরাসের এসময়ে আমরা নিজেরা যদি একটু নিজের দিকে তাকাই তাহলে আমরা কতটা অস্থির আর অধৈর্য্য তা টের পাবো।
এসময়ে আমরা যা করতে পারতাম:
-সঠিক জায়গা থেকে পরামর্শ নেয়া। ফেসবুক থেকে তথ্য জেনে তা বুঝে কখনই প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক না। আমরা এ সময় কোন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট, চিকিৎসকের শরানপন্ন হতে পারি সঠিক তথ্য জানার জন্য। আমরা না জানতেই পারি, কিন্তু অভিজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিখতে পারি।
-আতংকিত না হওয়া। আপনি যখন আতংকিত হন, এর অর্থ মানে হচ্ছে আপনি কিংবা আমি আরও হাজারটা কারণে আতংকিত হই। কখনই আতংকিত না হয়ে নিজের অবস্থান বিবেচনা করে স্বাভাবিক আচরণ করার দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
-নিজের যত্ন। আমরা বাংলাদেশিরা খুব একটা বেশি নিজের যত্ন নেই না। মাসে মাসে নতুন কাপড়, নতুন ফোন কিংবা নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নেয়া সেলফ কেয়ার না। এ সময়ে আমরা নিজের যত্নের দিকে একটু মনোযোগ দিতে পারি। শেষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি তা আমরা ভুলে গেছি। রোগ হলেই চিকিৎসা নিতে হয়, এমন একটা ভুল ধারণা আমাদের আছে। সারা বছরে নিজের শরীরের যত্নের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
-প্রার্থনা করুন, নিজেকে সময় দিন। আমরা নিজেরা নিজেদের সময় দেই কখনো? করোনাভাইরাস আতংকে না থেকে নিজের মনের যত্ন নিন। নিজের কথা শুনুন।