সন্ধ্যা ৭টা।
আমি অফিসের কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এমন সময় বায়েজিদ জুয়েল ভাইয়ের ফোন, ‘১১টায় বাস, রাজশাহী যেতে হবে। সোহাগ ভাইয়ের ফ্লাইট ক্যানসেল হইছে।’ ‘হ্যাঁ’ বলার আগেই রাজি হয়ে বললাম, ‘ওকে।’ প্ল্যান করলাম যেহেতু চারঘণ্টার মত সময় পাচ্ছি, আরেকটু অফিসে থেকে বাসা হয়ে কল্যানপুর বাস স্ট্যান্ডে চলে যাবো।
রাত ৮টা।
জুয়েল ভাইয়ের ফোন, ‘বাস ৯.৩০ মিনিটে। এখনই কল্যানপুর দৌড় দাও। ক্রিসমাসের তিনদিনের ছুটির জন্য টিকেট নাই।’ আমি দৌড়ে সিএনজি দিয়ে কল্যানপুরে রওয়ানা দিয়ে দিলাম।
একটু পরে কামরুলের ফোন, সেও যাচ্ছে। রাত ৯.৪০ মিনিটে আমি কল্যানপুরে তাসরিফের কাছ থেকে টিকিট নিলাম, ১০টায় বাস-তখন কামরুল মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকায়। আসতে পারবে তো?
রাত ১০.২০ মিনিট কামরুল কোন মতে আসলে গাড়ি ছাড়ে, আমরা রাজশাহীর দিকে যাওয়ার জন্য ঘুম দিলাম।

দুপুর ৩টা, গণিত অলিম্পিয়াডের ফলাফল ঘোষণার সময়। আমার রাজশাহী-ঢাকা ফ্লাইট ৩.৩০ মিনিট। কই থেকে কি করবো না বুঝে অনুষ্ঠান শেষ করেই ইকোলোর বাইকের চড়ে রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরে ছুটলাম। শেষ যাত্রী হিসেবে ফ্লাইটে চড়ে ঢাকা ফিরলাম।

টানাটানির মধ্যে ঢাকা ফেরার কারন, সন্ধ্যা ৭টায় আইবিএতে ব্র্যান্ডের মুশতাক স্যারের ক্লাস।
—
২০০৮ সাল থেকে এমন দৌড়াদুড়ি করেই গণিত উৎসবে যোগ দেই। প্রতিবছরই এমন টানাটানির দৌড়াদুড়ির ঘটনা ঘটিয়েছি, উপায় নাই তো! সকালে নেমে প্রোগ্রাম শেষে বিকেলের ফ্লাইটে ফিরে এসে অফিসে মিটিং করছি, ক্লাস করছি-কাউকেই বুঝতে দেই নাই।

অ্যাড্রেনালিন রাশ বিষয়টা কি তার গণিত অলিম্পিয়াডের ভলান্টিয়ার না হইলে বুঝতাম না মনে হয়!