আইবিএতে ইএমবিএ করার সময় দ্বিতীয় সেমিস্টারেই যখন ‘টাটা’ বলে ড্রপআউট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন মোস্তাফিজ তপু ভাই মার্কেটিংয়ের ক্লাস-টেলাস করে ড্রপআউট হইতে বুদ্ধি দিয়েছিলেন। টাকা নষ্ট করে লাভ কি? ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মুশতাক স্যারের ক্লাস না করলে ব্র্যান্ড-সার্ভিস-প্রোডাক্টের ব্যবসায়িক ফিলোসপি বুঝতে পারতাম না মনে হয়।
ক্লাসে স্যার অ্যাডভার্টাইজমেন্টকে আইএমসি-ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং কমিউনিকেশন, প্রোডাক্ট আর সার্ভিসকে ভ্যালু হিসেবে বলতে বলছেন। তার যুক্তিতে পণ্যের ভ্যালু নেই তো গ্রাহক নেই, গ্রাহক নাই তো বাজার নাই। ভ্যালু-এক শব্দই ব্যবসা দুনিয়াতে টিকে থাকার উপায় তৈরি করে।
স্যার দ্যা পারসুট অব ওয়াও, পার্পল কাউ, ব্লু ওশেন স্ট্র্যাটেজিসহ আরও ৫/৬টা বই পড়ার পরামর্শ দেন।
‘ওয়াও’
যারা নতুন কিছু শুরু করতে চায়, তাদের পন্য বা সেবার মধ্যে কাস্টমার ‘ওয়াও’ জিনিষটা খুঁজে না পেলে তা নিয়ে বাজারে অনেকদিন টিকে থাকা কষ্টকর। পুরানো যারা তাদের নতুন ক্যাটাগরি তৈরির মাধ্যমে ওয়াও টাইপের পন্য তৈরি করাই বাজারে টিকে থাকার উপায়। আরসি জিরাপানি আনার পরে, সবাই ‘মি-ঠু’ পন্য হিসেবে জিরাপানি শুরু করে দিয়েছে। ‘মি-ঠু’ বা ‘কপি-পেস্ট’ কোম্পানিগুলো বেশিদিন টিকতে পারে না।
ব্লু ওশেন স্ট্র্যাটেজি
আপনি রেড ওশেনে নেমে যুদ্ধ করবেন না নতুন মার্কেট তৈরি করে সেখানে শান্তিতে যুদ্ধ করবেন তা আপনার ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা। মানুষ First আর Second কে চেনে, তৃতীয় বা অন্যদের চিনবেই না। ব্লু ওশেন স্ট্র্যাটেজি বইটা ২০০৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরে ৪৩টি ভাষায় প্রকাশিত হয়।
প্রোডাক্ট বেটার না ডিফারেন্ট
স্টিভ জবস ডিফারেন্ট প্রোডাক্ট তৈরিতে সব সময় আগ্রহী ছিলেন। বেটার শব্দটা আপেক্ষিক, ডিফারেন্ট শব্দটার ইমপ্যাক্ট বেশি।
-- Stay cool. Embrace weird.
1 thought on “ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট, সার্ভিস আসলে ‘ভ্যালু’”