মুখস্থ করে কত কিছুই না মনে রাখার চেষ্টা করি আমরা। মনে রাখা কি এতই সহজ? প্রতিদিন এত এত ইনফরমেশন আমরা মাথায় নেই যে, তার মাত্র ১ শতাংশ পুরো পুরি মনে থাকলে সবাই আমরা এলন মাস্ক হয়ে যেতাম মনে হয়। মনোবিদরা মনে করেন, স্মৃতি বা মেমরি হুট করে মনে আসার কোন বিষয় না, স্মৃতি তৈরি করতে হয়। আমরা যা শিখি, যা দেখি-তা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী মেমরিতে পরিণত করতে পারলেই দীর্ঘদিন তা আমাদের মনে থাকে। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের ব্যাখ্যা বা পিথাগোরাসের উপপাদ্যের ব্যাখ্যা মনে রাখার জন্য কতই না সময় দিয়েছি আমরা। এত কষ্ট কেন মনে রাখায়? প্রাক্তন প্রেমিকার পুরনো প্রেমের কথা তো সহজে ভুলি না আমরা অথচ অ্যাকাউন্টিং করতে গেলেই সব ভুলে বসে থাকি আমরা। কেন ভুলে যাই তা নিয়ে দারুণ একটি ব্যাখ্যা পড়েছি। আমাদের দুর্বল মস্তিষ্কের জন্য আমরা কিছুই ভুলে যাই না, আমরা আসলে ভুলে যাই আমাদের মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না কোন তথ্যের কেমন গুরুত্ব হওয়া উচিত?
আমরা চাবি কোথায় রেখেছি মনে রাখতে পারি না অনেকেই। এক্ষেত্রে খুব সরল একটি কৌশল হচ্ছে, চাবির অবস্থান আপনার দরজার আশেপাশে ঝুলিয়ে রাখলে আপনার মনে থাকবে সব সময় তা। এটা অনেকটা কম্পিউটার চালানোর সময় ‘স্টার্ট’ বাটনে ক্লিকের মতো। আপনি যদি বাটনে ক্লিক না করেন, তাহলে কি কম্পিউটার চালু হবে? মনে রাখার জন্য যে কোনও তথ্যকে আমাদের ভবিষ্যতে ব্যবহারের দিকটি মাথায় রাখা জরুরী। স্কুল কলেজে আমরা যা শিখি, শেখার সময় আমরা ভাবি এটা কি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে? যেহেতু মনে মনে ভেবে নেই তথ্যটি কাজে লাগবে না, তাই সেই তথ্যটি আর কাজে আসে না আমাদের।
যারা শক্তিশালী মেমরির ধারক, তাদের দিকে খেয়াল করলে দারুণ একটি বিষয় দেখা যায়। তারা যে কোনও তথ্যকে গল্প, রং, আর মোমেনটা হিসেবে মনে রাখতে পারে। যে কোনও তথ্যকে অদ্ভুত কোন গল্প হিসেবে পরিণত করতে পারলেই সব মনে রাখা সম্ভব।
অনেকের নাম ভুলে যাই আমরা, এক্ষেত্রে অদ্ভুত আর উদ্ভট কোন বিষয়ের সাথে সেই নাম ও ব্যক্তিকে যুক্ত করতে পারলে আমরা নাম মনে রাখা কোন বিষয়ই না।
স্মৃতি শক্তি শরীরের মত, যত্ন নিতে হয়। স্মৃতি শক্তির জোর বাড়াতে হলে কৌশল শিখতে হবে। যারা মরে রাখার কৌশল মনে রাখতে পারে তারা বেশি মনে রাখতে পারে!
--Stay cool. Embrace weird.
Total 3,886 views. Thank You for caring my happiness.