করোনাভাইরাসের বাইরের ধাক্কা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার কথা এরই মধ্যে জানিয়েছে। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টা কয়েক বছর আগ পর্যন্ত ‘পাগলের সমস্যা’ ক্যাটাগরিতে ছিল। আত্মহত্যা, হতাশা, মন খারাপ-যার সমস্যা তার এমনই ছিল আমাদের অবস্থান। সেখানে এসব সমস্যা এখনও অন্যদের গছিপ টপিক। ফেসবুক বা পাশের বাড়ির আন্টির গল্পের বিষয় হচ্ছে অন্যের মানসিক সমস্যা।
মানসিক সমস্যা বড় আকারে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত। আমরা মানসিক সমস্যার আগের চ্যাপ্টার নিয়ে কখনো চিন্তা করি। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি যে শরীরের স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা আমাদের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ জানেন না। প্রযুক্তি বা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কল্যানে আগামী এক দশক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি এশিয়াতে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করি আমি। এর পেছনে স্টার্টআপ ও টেকনিক্যাল দুনিয়ার আগ্রহ খেয়াল করা যায়।
করোনাভাইরাস ইস্যুতে সরকারী ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ফ্রন্টলাইনের চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ধীরে ধীরে কাজ দেখা যাচ্ছে। যেমন, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মনের বন্ধু ইউএনডিপির সহায়তায় টেলিকাউন্সেলিং চালু করেছে। মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা শিরোপা আপা জানান, প্রথম ৭ দিনে ২০০-এর বেশি ফোন কাউন্সেলিং সেবা দেন তারা। এছাড়াও মনের বন্ধুর ফেসবুক লাইভ ও টেলিভিশন শোর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জন্য গৃহবন্দীদের সহায়তা করছেন। ০১৭৭৬৬৩২৩৪৪ এই নম্বরে ফোন করে সেবা নেওয়া যাচ্ছে।
মনের বন্ধুর মতই ব্র্যাককে দেখলাম একই রকমের সেবা চালু করতে। মোটামুটি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন সবাই বিশেষ ধরণের অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা চালু করেছে। এখন মূল বিষয়টা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ কতটা কানেকটেড হচ্ছে। সেবা ব্যবস্থা চালুর পরে সাধারণ মানুষকে অনলাইন ও অফলাইনে যুক্ত করতে হবে। দেখা যাক, যার গরজ তাদের আগ্রহ কেমন থাকে।
-- Stay cool. Embrace weird.