শেখার কোন সময় নাই, শিখতে কোন ইগো নাই। ইগো নিয়ে পড়ে থাকার কারণেই নিজেকে অনেক পিছনে দেখছি। ২০১৭ সালে যা শিখেছি তা নিয়ে এই পোস্টটি।
১. যে কোন কিছু কাগজে কলমে লিখে করাই বেশি ভালো!
আমি ২০১৭ সালে প্রথম কাগজে আগামীকাল কি করবো তা লেখার অভ্যাস শুরু করি। সেপ্টেম্বরে হুট করেই টু ডু লিস্ট লেখা শুরু করি-এখন যা প্রতিদিনকার অভ্যাস। যেহেতু সময় বুঝি না বলে একটা বদনাম আছে, সেই বদনাম কাটানোর জন্য এই অভ্যাসটা দারুণ কাজে দিচ্ছে। কাগজে কলমে লেখালেখির অভ্যাসের মত অ্যানালগ বিষয় নিজের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে।
২. যে কোন কিছু শিখতে শুধুমাত্র সময় দিয়ে সব কিছু থেকে দূরে থাকতে হয়।
স্মার্টফোন হচ্ছে প্যারাসাইট, যা আমাদের জীবনীশক্তি শুষে নিচ্ছে। তাই ডিসট্র্যাকশন যত কমিয়ে কিছু শেখা যায় ততই মঙ্গল। ২০১৭ সালে ডিসট্র্যাকশন কমানোর জন্য স্মার্টফোন থেকে মেসেঞ্জার ফেলে দিছি। জিমেইলে কোনভাবেই ১ জিবির ওপরে মেইল সংরক্ষণ করিনি।
৩. ২০১৭ সালে আমি ডিভাইসে যত কিছু পড়েছি তার চেয়ে বেশি বুঝতে পেরেছি কাগজে পড়ে।
আমি ২০১৭ সালে বেশির ভাগ বই কিন্ডলে পড়েছি, আর গোটা দশেক মৃত গাছের মন্ডের কাগজে পড়েছি। এলইডি বা এলসিডি ডিসপ্লেতে পড়ার অভ্যাস খারাপ। শেষ দিকে অডিওবুকে অভ্যস্ত হয়েছি।
৪. ওপেন মাইন্ড বিকাশের জন্য বেশ চেষ্টা করেছি।
যেহেতু আইডিয়ার শেষ নেই, আইডিয়াকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবে আনা যায় তা বোঝার বিভিন্ন মডেল শিখেছি। ১৬টা মডেল বুঝি এখন আমি!
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাধি।
ফেসবুকে সময় কমানোর জন্য অনেক বন্ধুকে আনফ্রেন্ড করেছি। অনেক গ্রুপ থেকে সরে এসেছি। এখন সিএনএন, ম্যাশেবল, আইএনসিসহ ৮/৯টা পেইজের পোস্ট শুধু হোমে আসে আমার।
৫+. নিউজ পড়া বাদ দিয়েছি!
টেলিভিশনে কাজ করি, পত্রিকায় টুকটাক লিখি-এমন অবস্থায় নিউজ পড়া বা দেখা বাদ দেয়া বিপদজ্জনক। সত্যি সত্যি ২০১৭ সালে টেলিভিশনে আর পত্রিকার সব নিউজ এড়িয়ে গেছি আমি, কিন্তু তারপরেই ইকনোমিস্ট আর টাইমসের বদৌলতে তথ্য ঘাটতিতে পড়িনি।
(টাটা কনসালটেন্সির অশোক কৃষকের পোষ্টের অবিকল পোস্ট এই লেখাটি!)
ফিচার ছবিটি নাইকির প্রতিষ্ঠাতা ফিল নাইটের বিখ্যাত একটি লাইন।
-- Stay cool. Embrace weird.