জীবনের শেষ মুহূর্ত বলে কিছু কি আছে? জীবনের অনেক প্রশ্ন, সারা জীবনটাই কি উত্তর খুঁজে বেড়ানো? না জীবনটা জীবনের মত ছুটে চলাই জীবন? জীবনের নানা রঙের নানা বর্ণের গল্প কিংবা মুহূর্তের গল্পের সিনেমা কমলা রকেট। আমি সিনেমা বলতে যত বড় পর্দা মনে করি, কমলা রকেট কেন জানি তত বড়ই। সিনেমা তো বড়, তাই তার ব্যাপকতা ও গভীরতা হবে।
পুরো সিনেমায় আছে ডজন-খানেক চরিত্র, ডজন খানেক জীবনের গল্প। কোন গল্প থেমে যাওয়ার, কোন গল্প নিজেকে নতুন করে সামনে চলার, কোন গল্প কোন গল্পই না-এমন সব মুহূর্ত নিয়ে অসাধারণ সিনেমা কমলা রকেট। ছবির আবহসঙ্গীত আর মোশাররফ করিমের অভিনয়ের সারল্য সিনেমার বড় শক্তি। সিনেমা দেখে থমকে যেতে পারি আমরা, আবার ভাবতে পারি জীবনের শেষটা কোথায়? আমাদের জীবনটা কমলা রকেটের মত। থেমে থেমে সামনে এগিয়ে যায়, বাঁধা-কষ্ট-মৃত্যু আসে, দমিয়ে দেয়; কিন্তু কমলা আবারও চলতে থাকে। শাহাদুজ্জামানের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি ঠান্ডা মাথায় না দেখলে সিনেমাটিকে সিনেমা মনে হবে।
তৌকির আহমেদের চরিত্রটা যেন আমার জীবনের গল্প। পালিয়ে বেড়ানোর জন্যিই যেন আমাদের বেঁচে থাকা। অর্থবিত্তের লোভে শেষতক লাশের গন্ধে মুখে সবুজ কাঁচামরিচ। জীবনের সব কিছুই সরল, আর উল্টো ভাবলেই কঠিন কষ্ট।
-- Stay cool. Embrace weird.