(এই কবিতা সিরিজ বাংলায় জাপানি ডেথ পয়েম বা জিসেই প্রোজেক্টের অংশ হিসেবে অনুবাদ করা। ডেথ পয়েম বা জিসেই শব্দটির চলতি বাংলায় অনুবাদের জন্য আমরা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে ফিরে যাই। ‘শেষের কবিতা’ শব্দদ্বয় ছাড়া মৃত্যুর আগের শেষ কবিতা বা মৃত্যু নিয়ে কবিতার কার্যকর প্রায়োগিক বাংলা অনুবাদ আর কি হতে পারে বলুন তো?)
কবিতা: আমার চাদর
বাতাস বইছে
ছায়াময় উদ্যানের ভেতরে;
উড়িয়ে নিচ্ছে
আমার চাদর আর
ছড়াচ্ছে ফুলের ঘ্রাণ।
কবি: কি নো ৎসুরায়ুকি। জাপানি লেখক, কবি এবং হাইয়ান যুগের মানুষ।
(অনুবাদ: ঢাকা, ০৯.০১.২০২২)
কবিতা: তুষারপাত
জীবন একটি ঘূর্ণায়মান চাকার মতন
আর তার প্রতিটি দিন সর্বদাই সঠিক যেন।
যিনি তাঁর মৃত্যুতে কবিতা আবৃত্তি করছেন-
তিনি যেন তুষারপাতকে আরও শীতল করছেন।
কবি: মুমন জেনসেন জাপানি জেন পুরোহিত। তাকে সম্রাট গো-দাইগোর পুত্র বলে বিশ্বাস করা হয়।
(অনুবাদ: ঢাকা, ০৯.০১.২০২২)
কবিতা: আসা ও যাওয়া
যখন কিছু আসে – তাই ঠিক!
যখন কিছু যায় – তাই ঠিক!
আসা ও যাওয়া তো প্রতিদিনই ঘটছে।
আমি এখন যে কথাগুলো বলছি- তাই ঠিক!
কবি: মুশো জোশো একজন জাপানি জেন মাস্টার ও কবি ছিলেন। তিনি জুতাং ঝিউয়ের শিষ্য ছিলেন।
(অনুবাদ: ঢাকা, ০৯.০১.২০২২)
কবিতা: বজ্রপাত
এ যেন চরম হাওয়া!
বৃষ্টিতেই সব বিভ্রান্ত!
আমি তো সিদ্ধার্থকেই চিনতে পারছি না।
বজ্রপাতের মতো একটি আঘাতে-
পুরো বিশ্বই যেন মোড় ফেরাচ্ছে।
কবি: নামপো জমইয়ো একজন জাপানি সন্ন্যাসী, যিনি জেন রিনজাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।
(অনুবাদ: ঢাকা, ০৯.০১.২০২২)
কবিতা: পা রাখছি
ত্রিশ বছরের চেয়েও বেশি-
আমি নিজেকে শূন্য করার কাজ করেছি।
এখন আমি মৃত্যুর পথে পা রাখছি।
মাটি চৌচির হচ্ছে-
আকাশ যেন বৃত্তাকারে ঘুরছে।
কবি: রাঙ্কেই ডোরিউ একজন জেন পুরোহিত ও দাইকাকু-হা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।
(অনুবাদ: ঢাকা, ০৯.০১.২০২২)
-- Stay cool. Embrace weird.