“If you can’t explain it simply, you don’t understand it well enough.” Albert Einstein.
আমরা যখন বিজনেস স্কুলের প্রেজেন্টেশন বা কোন পাবলিক প্লেসে বক্তব্য দেই, সেখানে বেশির ভাগ বক্তাই অডিয়েন্স আসলে কি চাচ্ছে তা বুঝতে চেষ্টা করি না। বোরিং বক্তব্য দিয়ে বিরক্তি ধরিয়ে দিতে ওস্তাদ সবাই। এমনও ঘটনা আছে যে বক্তার বক্তব্যে বিরক্ত হয়ে অডিয়েন্স অনবরত হাততালি দিয়ে ‘হইছে, আর লাগবে না’ আচরণ করা শুরু করে। যিনি বক্তা তিনিও সেই তালিকে বাহবা ধরে না খিস্তিখেউর চালিয়ে যান।
গতমাসে স্টিভ জবসের বায়ো পড়ার সময় তার প্রেজেন্টেশন স্কিলের চমৎকারিত্ব সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। স্টিভ জবসের প্রেজেন্টেশন স্কিল কতটা কঠিন আর পারফেক্ট ছিল তা বোঝার জন গুগলিং করে Carmine Gallo-এর The Presentation Secrets of Steve Jobs বইটার পিডিএফ জোগাড় করি। দারুণ বই। এখন পড়ছি।
বক্তব্য রাখার সময় স্টিভ জবস আর হাওয়ার্ড শুল্যজ কেন ‘তিন’ নম্বরকে গুরুত্ব দিয়েছেন তাই শিখছি বইটা থেকে। জোস একটা বই।

এখন পর্যন্ত যা জেনেছি:
* Create simple, memorable bottom lines। বিশাল বিশাল জ্ঞানগর্ভময় কথা দিয়ে খই ভাজা যায়, লোকজনকে টানা যায় না। স্টিভ জবসের কি দরকার আছে “The iPod: One thousand songs in your pocket” কথাটা দিয়েই আইপ্যাডের কথা দুনিয়াকে জানান দেয়া?
* আমরা প্রথমেই মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ওপেন করি, তারপরে প্রেজেন্টেশন বানাই। আমাদের প্রেজেন্টেশনে থাকে না কোন গল্প, থাকে না কোন আটকে থাকার উপকরণ। স্টিভ জবস নিজের প্রেজেন্টশন খাতা-কলমে স্কেচ করে দেন স্লাইডে নিতেন।
* গল্প দিয়ে যে কোন প্রেজেন্টশন ম্যাপ রেডি করলে তা দারুণ কাজে দেয়।
Ask yourself the question the listeners are asking: “Why should I care?”
Have fun, সিরিয়াস প্রেজেন্টেশন যারা দেয়, যারা শুনে-সবাই অসুস্থ!
-- Stay cool. Embrace weird.
1 thought on “হোয়াই শ্যুড আই কেয়ার?”