ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রথমে কোন কাজটি করেন? চোখ খোলার পরে? এক সাধারণ জরিপে জানতে পারি, শতকরা ৯৯ ভাগ মিলেনিয়ালস, যাদের জন্ম ১৯৯০ সালের পরে, তারা মুঠোফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামের নোটিফিকেশন চেক করেন। একবার শুরু হইলে সেই স্ক্রলিং কি আর থামে? কখন যে সেই স্ক্রলিং থামে, সেটা কি আর বলা যায়? হাতের আঙ্গুল, চোখের কর্নিয়া ব্যথা হয়ে গেলেও আমাদের সেই স্ক্রলিং আর থামে না। আমি কিভাবে সেই বদভ্যাস দূর করবো? একবার চেক করা শুরু করলে ৩০ মিনিট নাই, আবার ঘড়ির দিকে তাকালে ১ ঘণ্টা নাই। খারাপ সংবাদ, উল্টোপাল্টা মিমস, ব্যাড জোকস-সব কিছু দেখতে দেখতে সময় চলে যায় নিজের চোখের সামনেই।
আমাদের এই মাইন্ড-লেস স্ক্রল কি শুধু সকালে থামে? সারাদিনই চলে যায়। ফেসবুকে বিরক্তি আসলে ইনস্টাগ্রাম, এরপর টিকটক-টিন্ডাররা তো আছেই। এমন কি এই লেখার আগে আমি ১ ঘণ্টার বেশি স্ক্রলিং করে আসছি। ফোন থেকে দূরে যাওয়া কঠিন, আকাশকুসুম চিন্তা। আমি একা না। পিউ রিসার্চ বলে, আমেরিকায় ২৮% তরুণ এই সমস্যায় পড়েন। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের ইউএক্স ডিজাইনারদের এজন্য এত স্যালারি দেয়া হয়, যেন তার ব্যবহারকারীরা চোখ সরাতে না পারেন।
এটা আসলে একরকমের দাসত্ব বা নেশা। আমাদের ব্রেনে এই নেশায় কখন যে জড়িয়ে পড়ে সেটা আমরা খেয়াল করি না কখনই।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য যা করা যায়:
প্রথমে সমস্যা স্বীকার করতে হবে। আপনি যদি স্বীকার না করেন যে স্ক্রলিং রোগে আক্রান্ত না তাহলে কোনভাবেই আপনাকে বা আমাকে ঠিক করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। ফেসবুকের কাজই হচ্ছে অযথা কোন গ্রুপে কি হচ্ছে তা আপনাকে জানিয়ে বিরক্ত করা। আর জানার পরে তা না দেখলে কি হয়? এজন্য জানার পথ আটকে দিতে হবে। নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিতে হবে। ১০০ বন্ধুর ৬শ নোটিফিকেশন দেখে সময় নষ্ট করার কোন মানে আছে?
তৃতীয় ঘুমের সময় ফোন দূরে রাখুন। বালিশের পাশে ফোন থাকবে আর সকালে দেখবেন না, এমনটা কি হয়? দূরে ফোন রাখতে হবে। পারলে অন্য রুমে রাখুন। বাড়ির ওয়াইফাই বন্ধ করে দিন।
ফোনের গ্রে-স্কেল অপশন চালু করুন! এটা বেশ কাজের। অ্যাপগুলো দেখতে বিরক্ত লাগে।
—
প্রশ্নোত্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোরাতে আরও যা পড়তে পারেন:
–যেকোনো স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ কী?
–আমি যদি আগামী ১০ বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চাই, তবে আপনি কোন বইটির পরামর্শ দেবেন ?
–জীবনের কোন তিক্ত সত্যগুলি সবার জেনে রাখা উচিত?
আলস্য ছেড়ে কর্মক্ষম হয়ে ওঠার সেরা উপায় কী?
-- Stay cool. Embrace weird.