প্রতিদিন আমরা নানা ভাবে নানান মাত্রায় ফ্রাস্ট্রেশন বা হতাশার দেখা পাই। সব কিছুই আমাদের হিসেব মতো বা কথা মতো হয় না। আমাদের ইচ্ছায় কি আর দুনিয়া চলে সব সময়? আমরা যত চারপাশ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি, ততই চারপাশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আমাদের প্রত্যাশা আমাদের এগিয়ে চলাকে খাটো করে দেয়। দিনের পর দিন প্রত্যাশা মত চলতে না পেরে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। প্রতিদিনের এই সাইকেল যেন এক চলমান প্রক্রিয়া হয়ে পড়েছে। আমরা কিভাবে আমাদের এই হতাশার সাইকেল ভাঙতে পারি?
স্টোয়িক দার্শনিক এপিকটেটাস প্রথম একটি প্রশ্ন তুলছিলেন, ‘কোন বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আসলে?’ আমরা কি কখনও ভেবেছি আমরা আসলে কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, কিংবা কিসের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ তৈরি করা সম্ভব? আমরা কেনই বা সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাই? সব নদীতে কি বাঁধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব? নদীকে যেমন চলতে দিতে হয়, তেমনি কি আমরা জীবনকে কি চলতে দেই কখনো?
আমাদের সাথে যা হয় তার সব কিছুর ওপর কি আমাদের নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব? তাহলে কেনই বা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি? দার্শনিক এপিকটেটাস লিখেছেন, আমরা আসলে ঘটনা বা পরিস্থিতির জন্য বিরক্ত হই না, আমরা আসলে ঘটনা বা পরিস্থিতির ওপর আমাদের জাজমেন্টের জন্য বিরক্ত হই।