রোকেয়া এ. রহমান মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। নানান পরিচয়ের বড় মানুষ তিনি। ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার বনানীর তরুতে তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প শুনছিলাম। ৩০ মিনিটের বক্তব্যে একজন মানুষের ৭৮ বছরের জীবনের গল্প বোঝা ভীষণ কঠিন। তবুও তার কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছিলাম। পুরো কথার সারাংশ ছিল একটাই, জীবনে থেমে থাকা যাবে না। সেই আলোচনা থেকে যা যা শিখেছি তা নিয়েই এই পোস্ট।
বুঝতে হবে কি করছি: রোকেয়া রহমান যখন ব্যাংকে ক্যারিয়ার শুরু করে তখন নারীদের তেমন অংশগ্রহণ ছিল না। তবুও তিনি লেগেছিলেন। এরপরে যখন মুন্সিগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজের ব্যবসা শুরু করেন তখনও ছিলেন সেই ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একা। যাই করেছেন রোকেয়া রহমান সব সময় নিজের জোর দিয়ে কাজ করে গেছেন।
পড়তে হবে: রোকেয়া রহমান প্রচুর পড়েন। তিনি আমাকে কাহলিল জীবরানের কয়েকটি বইয়ের কথা বলেন। প্রতিদিন তিনি সময় করে বই পড়েন।
প্রার্থনা আগে: জীবনের নানা পরিস্থিতিতে সব সময় তিনি স্রষ্টার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, প্রার্থনার জন্য সময় রেখেছেন তিনি।
নিজেকে সময় দিতে হবে:আমরা এতই ব্যস্ত যে নিজেকে সময় দেই না। রোকেয়া রহমান দিনের শুরু ও রাতে তার ২ ঘণ্টা তিনি নিজের জন্য সময় দেন। নিজেকে বুঝতে নিজেকে সময় দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে।
পরিবার ও আবেগ সবার আগে: বাইরে যাই করুন না কেন রোকেয়া রহমানের কাছে পরিবার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখন নাতিনাতনিদের বেশ সময় দেন তিনি। তাদের সিক্রেট কিপার রোকেয়া রহমান।
আশাবাদী হতে হবে: যে জীবনে আশা নেই সেই জীবনের ভার অনেক বেশি বলে মনে করেন তিনি।
অন্যকে সহায়তা করতে হবে: ৭৮ বছরের শিক্ষা কি আপনি পরের প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চান, আমার এই প্রশ্নের উত্তরে তার উত্তর, ‘যে করেই হউক যেভাবেই হউক অন্যদের সহায়তা করতে হবে। অন্যকে কোন না কোন ভাবে উপকার করতে পারলে শেষ বয়সে দারুণ লাগবে।’