ইন্টারভিউ শব্দটির অর্থই যেন ভীতিকর আমাদের জন্য। সম্প্রতি আমি কাজী এম মুরশিদ নামের একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞের ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম। ফরমালি আনপ্রিন্টেশাস ঘরণার ইন্টারভিউ। সেই ইন্টারভিউয়ে আমি যতটা না জানিয়েছি, তার চেয়ে বেশি আমি জেনেছি। শেখার সুযোগ ছিল ঘণ্টাখানেকের সেই ইন্টারভিউয়ে।
ইন্টারভিউ থেকে যা যা জেনেছি:
- আমাদের দেশে মেন্টর-মেন্টি সম্পর্ক নেই বললেই চলে। কিন্তু পশ্চিমের দুনিয়াতে যে যতই বড় মানুষ হউক না কেন মেন্টর থাকবেই। মেন্টরের কথা কেউ লুকিয়ে রাখে না। আমাদের এখানে কেন জানি উল্টো। বিল গেটসের বড় মেন্টার বলা হয় ওয়ারেন বাফেটকে। বাফেটের মেন্টর বলা হয় তার বন্ধু চার্লি মুঙ্গারকে। আমাদের সংস্কৃতিতে এ বিষয়টা খুবই দুর্বল। আমার মেন্টর যেমন মুনির হাসান স্যারের রেফারেন্স আমি সবখানে বলি। ইন্টারভিউতেও বলেছিলাম।
- সামনের পাঁচ বছরের কথা ভেবে বর্তমানের বিষয়ে কাজ করা। কাজী এম মুরশিদ ভাই অনেকগুলো প্রিডিকশনের কথা জানান। ৫ বছর আগে তার যত ধারণা ছিল, সে গুলো এখন হয়তো কার্যকর না, কিন্তু ভুল না। আবার আগামী ৫ বছর পরে যা হবে, তার জন্য কিন্তু বর্তমান ভুল হবে না। পুরো বিষয়টা হচ্ছে আপেক্ষিক।
- পেশাজীবনে মানুষ চার ধরণের। একটা টেস্ট আছে যা নিয়ে। পুরো মডেলিংকে মনে হয় ইওএস মডেল বলে। কেউ ডেটা ওরিয়েন্টেড, কেউ পিপল ওরিয়েন্টেড, কেউ ভিশন আবার কেউবা প্রসেস ওরিয়েন্টেড। ৪টা বিষয়ই সবার মধ্যে থাকে। কম আর বেশি।
- কাজী ভাই মানুষকে কাজে যুক্ত করতে তিনটি কীওয়ার্ডস ব্যবহার করেন। আপনি যদি দলগতভাবে কাজ করতে চান তাহলে অন্যকে রেসপনসিবিলিটি আর ওনারশিপ দিলেই মানুষ কাজে সংযুক্ত হয়। আর আপনার যদি অ্যাকাউন্টিবিলিটি থাকে, তাহলে মাইক্রো ম্যানেজমেন্টের কোনো দরকার পড়ে না।
- যে কোনো কিছুতে কাজী ভাই হোম ওয়ার্ক পছন্দ করেন। এটা অনেকটা ক্রিকেট মাঠে খেলার আগে পিচ রিপোর্ট, ওয়েদার রিপোর্ট নেয়ার মত।
- প্রায়োরিটি সেট করে যে কোনো কিছু করলে অনেক কাজ সহজ হয়। প্রায়োরিটি ডিফাইনস আওয়ার ইনার স্ট্রেন্থ।