Happiness is a problem-এই সিরিজের অংশ হিসেবে লেখাটা লিখছি। এই লেখার জন্য তরুণ ব্যক্তিত্ব গোলাম রাব্বী ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।
জাপানিজদের মধ্যে নাকি একটি বিষয় প্রচলন আছে। তারা খারাপ বা ভাঙা জিনিষটা নিজের কাছে রেখে ভালো জিনিষ অন্যকে দেয়ার চেষ্টা করে। তেমনি, আমরা সাধারণত কাউকে কোন কিছু উপহার দিতে চাইলে ভালোটা দেই, আবার ভালোটা দেয়ার চেষ্টা করি। যাকে উপহার দিচ্ছি সেই মানুষটার সাথে আমাদের কোন স্বার্থ থাকে বলেই উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে ভালো, দেখতে নতুন জিনিষ উপহার দেই আমরা। এক অর্থে, খুঁত-বিহীন উপহার দেয়ার চেষ্টা করি আমরা।
গত বছর তারুণ্যের জয়োৎসবের একটি কর্মশালায় আমি রাব্বী ভাইয়ের সাথে যাওয়ার সুযোগ পাই। আমরা কেন ছেড়া টাকা দেই, আবার ছেড়া টাকা নিতে চাই না তার মনস্তত্ব তার সঙ্গে আলোচনা করছিলাম।

সাধারণভাবে, বাসে ভাড়া নেয়ার সময় আমরা হেল্পার যদি ছেড়া টাকা দেয় তাহলে তা নিতে চাই না, বদলে নেই। আবার আমরা ছেড়া টাকা চুপিচুপি ড্রাইভারকে দিয়ে দায় সারতে চাই। উপহার দেয়ার বেলায় আমরা ভালো উপহার দেই, আবার ভালো উপহার নেই। কিন্তু ছেড়া টাকার ক্ষেত্রেই যত ঝামেলা বাঁধে। কেন?
সাধারণভাবে বাস কনডাক্টর বা হেল্পারের সাথে আমাদের ভবিষ্যতের কোন সম্পর্ক থাকবে না অবচেতনভাবেই আমাদের স্বীকার করে নেই। যেহেতু ভবিষ্যতের সম্পর্ক নাই, তাই কোন মতে তাকে একটা ছেড়া নোট কোনমতে ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাই আমরা। স্বার্থের সম্পর্ক বলেই হয়তো অবচেতনভাবে আমরা এমনটা করছি। কেন?