২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অন্যতম ইনভেস্টমেন্ট ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম মসলিন ক্যাপিটালের একটি চা বৈঠকে অংশ নেয়ার সুযোগ পাই। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোগ-সংশ্লিষ্ট নানান টিভি রিপোর্ট ও সংবাদের সঙ্গে যুক্ত তাই আগ্রহ নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এই পোস্টে সেই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের নিয়ে যা যা আলোচনা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত ভাষ্য তুলে ধরছি।

চ্যালেঞ্জ বুঝতে হবে: উদ্যোক্তারা বাজার না বুঝে অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। যেহেতু উদ্যোক্তারা বেশিরভাগ সময় প্যাশনকে গুরুত্ব দেয়, তাই বাজারের অবস্থা কিংবা পুরো চিত্র বোঝার চেষ্টা করেন না। এক্ষেত্রে নতুন যারা তাদের বুঝে চলতে হবে।
ব্যবসা মডেল ভাবতে হবে: ভালো আইডিয়া অনেক সময় ব্যবসা মডেল না থাকার জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য মেন্টর বা নেটওয়ার্ক থেকে সাপোর্ট নেয়া প্রয়োজন।
লেগে থাকতে হবে: অনেক উদ্যোক্তা কিছু সময় কাজ করার পরে হাল ছেড়ে দেন। মসলিন ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর সাজেদ-উল-বাশার বলছিলেন, বাংলাদেশের অনেক সুযোগ। এখানে লেগে থাকার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে তরুণদের। অনেক উদ্যোক্তা সহজেই হাল ছেড়ে দেন।
বিনিয়োগ বা ব্যবসা বুঝতে হবে: আইডিয়া থাকলেই হবে না, তা বাজারের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। মসলিন ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর সাজেদ-উল-বাশার বলছিলেন, একবার আমরা ২০০টির বেশি আইডিয়া থেকে মাত্র ২টি কার্যকর আইডিয়া খুঁজে পেয়েছিলাম। বিনিয়োগকারীরা কিন্তু ভালো ভালো আইডিয়া ও উদ্যোগে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছে, সেভাবে তৈরি হতে হবে।
গভর্ন্যান্স বুঝতে হবে: আইডিয়া আছে, ওয়েবসাইট খুলেই অনেকে উদ্যোগ শুরু করেন। প্রথম থেকেই আইনগত বিষয়গুলোর ধারণা রাখতে হবে। ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে ট্যাক্স-নিবন্ধনের বিষয়গুলো সম্পর্ক রাখতে হবে।
এক লাইনে যা শিখেছি:
নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে না মিশলে এখন দুনিয়া কোন ভাষায় কথা বলছে তা জানা যাবে না।
প্রফেশনাল পোর্টফলিও তৈরি করে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
শেখার মানসিকতা রাখতে হবে।
যাদের সঙ্গে পরিচয় হলো:
কেএমজেড হাসান মাহমুদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সাইবার অ্যারোনটিক্স
শাহরিয়ার হৃদয়, সিইও, শুনবই
-- Stay cool. Embrace weird.