(স্টিভ জবস যখন আইফোন লঞ্চ করেন সেই অনুষ্ঠানে অনেক জন টেক ব্লগারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই ব্লগাররাই প্রথম আইফোনের কথা প্রচলিত মিডিয়ার বাইরে সারা দুনিয়াতে জানায়। সেই ২০০৭ সালে জবস যা করেছিলেন আমাদের দেশে সেই চর্চা এখন তেমন শুরু হয় নাই, বা আমাদের আগ্রহের জায়গায় নাই। রিয়েল টাইম ব্লগিং বিষয়টা আমাদের দেশে তেমন প্রচলিত না। একটা টেক ইভেন্টে ব্লগার কিংবা টেক রিভিউয়াররা থাকবে না এটা আমেরিকাতে কল্পনা করা বেশ কঠিন, যা বাংলাদেশে হয়তো কখনই দেখা যাবে না। এখানে টেক রিলেটেড ইভেন্টে বিশেষজ্ঞ আর গণমাধ্যম কর্মীদের ভীড়ে সাধারন ব্যবহারকারীদের উপস্থিতি থাকেই না বললে চলে। এ অবস্থায়, আমার চেষ্টা থাকে বিভিন্ন টেক ইভেন্ট থেকে সরাসরি নিজের কথা ভুল-ভাল-ভালো-বাংলায় টুকে রাখা। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই পোস্ট। UnPost অর্থ হচ্ছে পোস্ট না কিন্তু মতামত!)
“নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বার কিংবা ক্লিনার খোঁজার জন্য সময় বের করাটা সহজ নয়। এ ছাড়াও নিরাপত্তা, সঠিক সার্ভিসের নিশ্চয়তার প্রশ্ন তো আছেই ।প্রতিদিনের এই কঠিন কাজগুলো সহজ করতে সেবা এক্সওয়াইজেড।নতুন মার্কেটিং টিম নিয়ে নতুন বছরে নতুন লোগো নিয়ে যাত্রা শুরু করল সেবা।”-এই ভাষাতে একটি প্রেস রিলিজ পাই আজকে সকাল ১১টায় ঢাকার আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ৫ তালা অডিটরিয়ামে। এখন যেটি আইসিটি টাওয়ার সেটি আগে বিসিসি বা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নামেই বেশ পরিচিত ছিল। সেই ২০১১ সালে ইএশিয়া নামের একটা সম্মেলনে সেক্রেটারিয়েটে কাজ করার জন্য এই ভবনে মুনির হাসানের নেতৃত্বে পা রেখেছিলাম। তখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন ইয়াফেস ওসমান। আইসিটি টাওয়ারের প্রতি তালাতে এখন অনেক পরিচিত মুখ পাই-কাব্য ভাই, বেনাউল ভাই, শাহ ইমরান, নাসের ভাই, মাসুদ!
অনুষ্ঠান ১০.৩০ মিনিটে শুরু হলেও ১১.১০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ভাই এলেই অনুষ্ঠান শুরু হয়। আইসিটি টাওয়ারে সেবাএক্সওয়াইজেড উন্মোচন করে তাদের নতুন লোগো যার মাধ্যমে সেবা প্রকাশ করে তাদের মূল্যবোধ এবং স্বপ্ন। অনেকগুলো ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন ছিল, আর ছিল কিঞ্চিৎ সময় কাটানো বক্তৃতা পর্ব। সর্বশেষে ছিল পলক ভাইয়ের বক্তব্য, যেখানে ড্যাভোসের বিভিন্ন গল্প জানান তিনি।
সেবার সিইও আদনান ইমতিয়াজ হালিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। এর আগে একটা ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য সময় নিলেও দেখা করা আর হয়ে ওঠে নাই। বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে সেবা কাজ করছে। আরমিন জামান নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা, যাকে আমি আবার ছোট বেলা থেকে চিনি-তিনিও ছিলেন লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে। বর্তমানে সমগ্র ঢাকা জুড়ে সেবা হেন কোন সার্ভিস নাই প্রদান করছে না। যমুনা টেলিভিশনের প্রডিউসার মনজুর মোরশেদ নয়ন ভাইয়ের ধারণা, “ঢাকার পরে খুব দ্রুত এই সেবা চট্টগ্রাম আর সিলেটে পৌছাবে। বাঙালি যত অলস হবে তত সেবার ব্যবসা বাড়বে!”
১২টার দিকে অনুষ্ঠানের শেষে এক ফাঁকে পলক ভাইয়ের সঙ্গে আমি আর মনজুর মোরশেদ দেখা করি। আমার ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ারের জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যাওয়া পড়তো বলে অনেকবার পলক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখন আমার বেশ চুল বড় ছিল। আজকে পলক ভাই নামে না ডাকলেও, “চুল ছোট কেন?” বলে প্রশ্ন করে। আগামী মাসে বেশ বড় একটা ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় নেয়ার উছিলা ছিল আমার। পাশ।
অনুষ্ঠানে ৫ জন সেবার সার্ভিস প্রোভাইডারের গল্প শোনানো হয়, যারা নিজেদের সাফল্যের কথা সবার সামনে তুলে ধরেন। আমি অবশ্য এমন গল্প শুনতেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যে কোন গল্পই দারুণ কোন প্লটের অংশকে অনেক শক্ত করে।