আমি স্টিভ জবস, এলন মাস্ক আর বিল গেটস-ওয়ারেন বাফেটদের ম্যানেজমেন্ট স্টাইল আর বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে বেশ আগ্রহী। ২০১৬ সালে প্রথম স্টিভ জবসের বায়োগ্রাফি পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাদের ওয়ার্ক এথিক্স ও প্রোডাক্টিভিটি সিক্রেট জানার চেষ্টা করি। আর এলন মাস্ক কে এটা মোটামুটি সাম্প্রতিক সময়কার তরুণরা সবাই জানে। এলন মাস্কের কিছু প্রোডাক্টিভিটি সিক্রেট নিয়ে এই লেখাটা লিখছি।
#দিনের শুরুতেই ক্রিটিক্যাল কাজ শুরু করা
টেসলা, স্পেসএক্স আর নিউরালিংকের মত বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইও এলন মাস্ক। দিনের শুরুতেই কঠিন কাজগুলো সেরে ফেলেন তিনি। আমরা সাধারণত দুপুরে বড় বড় মিটিং বা কাজগুলো রাখি, এলন তার উল্টোটা করেন। এলনের দিন শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে। প্রথমেই দিনের সব ইমেইলের উত্তর দিয়ে দেন। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তাই সকালে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। ইউএসসি সমাবর্তন বক্তব্যে তিনি বলেন,
সব সময় নয়েজের ওপরে সিগন্যালে ফোকাস করতে হবে। যে জিনিষ আসলে কোন কাজে আসে না তার জন্য সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
যে কারণে এলনের হিসেবে মোস্ট ইম্পর্টেন্ট টাস্ক (এমআইটি) দিনের শুরুতেই করা উচিত। আমার প্রতিদিন লক্ষ্য থাকে ১০০০ শব্দ লেখা। দিনের শুরুতেই আমি এই কাজটি করি। কোনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তা জানতে ৮০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে।
#ফিডব্যাক লুপস ব্যবহার করা
এলনের সময় বেশ ব্যস্ত। নিজে কোন টাইম ম্যানেজমেন্টের বই না পড়লেও এলন বেশ দারুণ একটি কৌশল ব্যবহার করেন:
“ফিডব্যাক লুপ থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটা এমন একটা চিন্তা কৌশল, যেখানে আমরা যা করি, তা নিয়ে বারবার চিন্তা করা যুক্ত। নিজের কাজ নিয়ে বারবার প্রশ্ন করা গুরুত্বপূর্ণ।”
মাস্ক শুধু নিজেরই ফিডব্যাককে গুরুত্ব দেন না। তিনি অন্যদেরও ফিডব্যাককে বেশ গুরুত্ব দেন। উদ্যোক্তাদের নেতিবাচক ফিডব্যাক শোনার যুক্তি দেন তিনি।
—
প্রশ্নোত্তরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোরাতে আরও যা পড়তে পারেন:
–যেকোনো স্টার্টআপ ব্যর্থ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ কী?
–আমি যদি আগামী ১০ বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চাই, তবে আপনি কোন বইটির পরামর্শ দেবেন ?
–জীবনের কোন তিক্ত সত্যগুলি সবার জেনে রাখা উচিত?
আলস্য ছেড়ে কর্মক্ষম হয়ে ওঠার সেরা উপায় কী?
-- Stay cool. Embrace weird.